# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
২০২১-২০৩০
২০২৪-২০৩২
২০২১-২০৪১
২০২২-২০৫০
২০২০- ২০২৫
২০২২- ২০২৫
২০২৫- ২০৩০
২০২১- ২০৪১
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (Sustainable Development Goals) বা বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রাগুলো আন্তঃসংযুক্ত যা সকলের জীবনমান উন্নতরকরণ আরও টেকসই ভবিষ্যৎ অর্জনের পরিকল্পনা হিসাবে তৈরি করা হয়েছে। জাতিসংঘ লক্ষ্যগুলো প্রণয়ন করেছে এবং “টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা” হিসেবে লক্ষ্যগুলোকে প্রচার করেছে। এসব লক্ষ্য সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (MDGs) -কে প্রতিস্থাপন করেছে, যা ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। SDGs-এর মেয়াদ ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল। এতে মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা ও ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অন্তরভুক্ত রয়েছে ।
নির্ধারিত ১৭ লক্ষ্যমাত্রা
- দারিদ্র্য বিলোপ
 - অসমতার হ্রাস
 - টেকসই নগর ও জনপদ
 - ক্ষুধা মুক্তি
 - সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ
 - পরিমিত ভোগ ও উৎপাদন
 - মানসম্মত শিক্ষা
 - লিঙ্গ সমতা
 - জলবায়ু কার্যক্রম
 - জলজ জীবন
 - নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন
 - স্থলজ জীবন
 - শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান
 - সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানি
 - শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
 - শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো
 - অভীষ্ট অর্জনে অংশীদারিত্ব
 
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (Millennium Development Goals -MDGs) হলো ২০০০ সালে জাতিসংঘ এর সহস্রাব্দ শীর্ষ-বৈঠকের পর প্রতিষ্ঠিত আটটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন লক্ষ্য। সেই সময় ১৯১ টি জাতিসংঘ সদস্য এবং কমপক্ষে ২২ টি আন্তর্জাতিক সংস্থা ২০১৫ সালের মধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। দারিদ্র্য, গুণগত শিক্ষার অভাব, স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা, মাত্রাতিরিক্ত শিশুমৃত্যু, এইডস্, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়ার মতো রোগব্যাধির মহামারির কারণে ব্যাপক হারে জনমৃত্যু ইত্যাদি বেশীরভাগ দেশের বহুকালের সমস্যা। এ সমস্যাগুলো সমাধান করতে না পারলে বিশ্বব্যাপী যে প্রকৃত অর্থে উন্নয়ন সম্ভবপর নয় তা-ই অনুধাবন করে। লক্ষ্যমাত্রাগুলো নির্ধারণ করা হয়। এই ব্যাপারটি অনুধাবন করে ২০০০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানগণ সম্মিলিতভাবে অঙ্গীকার করেন যে, ২০১৫ সালের মধ্যে তারা নিজ নিজ দেশে আটটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়ন করেন।
নির্ধারিত আটটি লক্ষ্যমাত্রা
- চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূল করা
 - সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন
 - মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন
 - এইডস, ম্যালেরিয়া, এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরো
 - লিঙ্গ সমতা উন্নীত করা এবং নারীর ক্ষমতায়ন
 - পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা।
 - শিশু মৃত্যু হ্রাস করা
 - উন্নয়নের জন্য একটি বৈশ্বিক অংশীদারত্ব বিকাশ।
 
জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশের (LDC) তালিকা প্রস্তুত করে ১৯৭১ সালে। বাংলাদেশ LDC (Least Development Country) ভূক্ত হয় ১৯৭৫ সালে। LDC থেকে বেড়িয়ে যাবার জন্য প্রথম যোগ্যতা যাচাই উত্তরণ- ২০১৮ সালে । LDC থেকে বেড়িয়ে যাবার জন্য দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত যাচাই উত্তরণ- ২০২১ সালে। LDC থেকে উত্তরণের সক্ষমতা অর্জনের ৩ বছর পর একটি দেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পদার্পন করে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় ২৩ নভেম্বর, ২০২১ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন করা হয়। বাংলাদেশ চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সে অনুসারে ২০২৮ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে এলডিসি থেকে বের হবে। বাংলাদেশ পাশাপাশি নেপাল ও লাওস হবার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা ২ বছর পিছিয়ে উত্তরণের সময় ২০২৬ নির্ধারণ করা হয়। আয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ২০২৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে LDC Graduation সম্পূর্ণ হবার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা ২ বছর পিছিয়ে উত্তরণের সময় ২০২৬ নির্ধারণ করা হয়।
রূপকল্প ২০৪১ বা বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থানকে আরও দৃঢ় করে গড়ে তোলার জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা। ২০২২ থেকে ২০৪৪ সাল, এই বাইশ বছরের কৌশলগত পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে, বাংলাদেশের লক্ষ্য শিল্পায়নের মাধ্যমে উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন। বাংলাদেশ থেকে রফতানি বৃদ্ধি, মানব সম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের প্রসারকে উৎসাহ দেয়া রূপকল্প ২০৪১ এর উদ্দেশ্য। [প্রথম প্রেক্ষিতের সময় ২০১০-২১]
উদ্দেশ্য
- মাথাপিছু আয়, ১২,৫০০ ডলার (২০৪১ সালের মূল্যমানে ১৬,০০০ ডলারের বেশি)।
 - দারিদ্র্য দূরীকরণ।
 - ২০৪১ অবধি ৯% জিডিপি প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা।
 - বিনিয়োগ / জিডিপি অনুপাত ৪৬.৯ শতাংশে বৃদ্ধি করা ।
 - রাজস্ব কর জিডিপির ১৫% পর্যন্ত বাড়ানো।
 - রফতানি বৈচিত্র অর্জন।
 - রফতানি আয় ৩০০ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি করা।
 - গড় আয়ু বাড়িয়ে ৮০ বছর করা।
 - মোট জনসংখ্যার ৭৫% কে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা।
 - ২০৪১ সালের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার হার ১০০% এ বৃদ্ধি করা।
 - জনসংখ্যা বৃদ্ধি ১% এরও নিচে নামিয়ে আনা ।
 - কার্যকর কর এবং ব্যয়ের নীতিমালা কার্যকর করা।
 - অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির বিকেন্দ্রীকরণ।
 
- ডেল্টা প্ল্যান- ২১০০ হলো ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত একটি ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পরিবেশ সংরক্ষণ এবং বর্ধিত জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
 
প্রেক্ষাপট
নেদারল্যান্ডস কে অনুসরণ করে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে শতবর্ষী ডেল্টা প্ল্যান তথা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়ন করা হয়েছে। বন্যা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, বজা ব্যবস্থাপনা ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হিসেবে 'ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের অনুমোদন পায়। ২০২০ সালের ১ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ডেল্টা গভর্নর কাউন্সিল গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই প্লানে বাংলাদেশকে মোট ৬টি হটম্পটে বিভক্ত করে প্রথম ধাপে অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টি ভৌত অবকাঠামো প্রকল্প এবং ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, দক্ষতা ও গবেষণা বিষয়ক প্রকল্প। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ১৪৫ বিলিয়ন টাকা
ডেল্টা প্ল্যানে নির্ধারিত ৬ টি লক্ষ্য
- নদী ভাঙন
 - বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
 - নদী ব্যবস্থাপনা
 - নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ
 - বন্যা নিয়ন্ত্রণ
 - নিষ্কাশন
 
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
Read more